ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে মারা যাওয়া হরিণসহ ১০০টি মৃত প্রাণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত পাঁচ দিনে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯৬টি হরিণ ও চারটি বন্য শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও ১৮টি জীবিত হরিণ ও একটি অজগর উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানির তোড়ে সুন্দরবনের গহীনে চলে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে পারেনি। এ কারণে মারা যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারে সুন্দরবনে জোয়ারের উচ্চতা ছিল আট থেকে ১০ ফুট।
বনবিভাগের আরও ক্ষতির মধ্যে তিনি উল্লেখ করেন, টহল অফিসগুলোতে টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল, ওয়ারলেস সিস্টেম ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব বন বিভাগের কটকা অভয়ারণ্যের অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কচিখালি, বগিসহ বিভিন্ন বন~ অফিসসহ ২৫টি টহল ফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অবকাঠামোর টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের ৮০টি মিঠাপানির উৎস পুকুরে ৮-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বনকর্মীদের পাশাপাশি প্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।