ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার বটিয়াঘাটায় একজন মারা গেছেন। খুলনা ও বাগেরহাটে ৩০ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ৯১ হাজার ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুলনার ৪ লাখ ৫২ হাজার লোক দুর্যোগকবলিত হয়েছে। খুলনা ও বাগেরহাটে ২ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল হুসাইন খান বলেন, ‘রবিবার (২৬ মে) রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার পর সোমবার (২৭ মে) সকালে বটিয়াঘাটার বাসায় ফিরে যান লাল চাঁদ মোড়ল (৩৬)। এরপর তিনি গাছ চাপা পড়ে মারা যান। এখনও খুলনার দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ১ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। খুলনার ৪ লাখ ৫২ হাজার মানুষ দুর্যোগকবলিত হয়েছে। ২০ হাজার ৭০০ ঘর সম্পূর্ণ ও ৫৬ হাজার ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, ‘জেলার ১০ হাজার ঘর সম্পূর্ণ ও ৩৫ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোড়েলগঞ্জ পৌরসভা, জয়মনির ঘোল ও জিওধরা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। মোংলা, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও বাগেরহাট সদরের ৭০ হাজার মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। রামপাল ও মোংলায় চিংড়িঘের ভেসে গেছে।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সাতক্ষীরায় কোথাও বাঁধ ভাঙেনি। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয় ৪০ হাজার মানুষ। ৮০০ কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘রিমালের কবলে পড়ে খুলনায় ৩৮টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়রা ও দাকোপের ৪টি পয়েন্ট ভেঙেছে। এসব পয়েন্ট হলো দাকোপের বটবুনিয়া, খলিশা ও কামিনিবাসিয়া এবং কয়রার দশহালিয়া। খুলনায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’