X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

খুলনায় ৩১ ওয়ার্ডের ৩০টিতেই আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী

খুলনা প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৩, ০০:০১আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০১

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে অর্ধেকের বেশি কাউন্সিলর হেরেছেন। এসব ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নতুনরা। একটি বাদে সব ওয়ার্ডে জিতেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা। 

২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ছিল বিএনপির প্রার্থী। সেবার কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের ১৩, বিএনপির ৯, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৯ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এবার দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে বিএনপির পাঁচ নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন। বিজয়ীদের তালিকায় নেই একজনও। ১৬ জন নতুন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ১৫ জন আগের অবস্থান ধরে রেখেছেন।

সোমবার (১২ জুন) রাত ৯টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত নির্বাচনি ফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এসব প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু হয়।

সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা। তারা হলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ আহম্মেদ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জেড এ মাহমুদ। বাকি ২৯টির মধ্যে ২৮টিতে আওয়ামী লীগ এবং শুধুমাত্র ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এক জামায়াত নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।

খুলনায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন

নির্বাচিত অন্যরা হলেন—১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাদাত মিনা। গত মেয়াদে থাকা কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক হেরেছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান। বর্তমান কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম হেরেছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য মো. আবদুস সালাম আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন বিএনপি নেতা মো. কবির হোসেন মোল্লা। এবার বিজয়ী হয়েছেন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের জায়গা দখল করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখ খালিদ আহম্মেদ। 

৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এইচ এম ডালিম হেরেছেন যুবলীগ নেতা মো. সাহিদুর রহমানের কাছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এম ডি মাহফুজুর রহমান আবারও বিজয়ী হয়েছেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কাজী তালাত হোসেন হেরেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. শরীফুল ইসলামের কাছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মুন্সী আবদুল ওয়াদুদ জিততে পারেননি। জিতেছেন যুবলীগ নেতা মো. নাইমুল ইসলাম। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের জায়গা দখল করেছেন জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শেখ মোসারাফ হোসেন এবার নির্বাচন করেননি। এখানে জয়ী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মফিজুর রহমান। 

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন বর্তমান কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাসকে পরাজিত করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান এবারও বিজয়ী হয়েছেন। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. হাফিজুর রহমান নির্বাচন করেননি। সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ নেতা এস এম রাজুল হাসান রাজু। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন বিএনপি নেতা আশফাকুর রহমান। তিনি দলের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তবে জিততে পারেননি। ওই ওয়ার্ডে জিতেছেন মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা মো. জাকির হোসেন বিপ্লব। 

খুলনা সিটি নির্বাচনে নারী ভোটারদের লাইন

২০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মো. গাউসুল আযম আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া জিততে পারেননি। জিতেছেন যুবলীগ নেতা ইমরুল হাসান। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ আবারও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আলী আকবর নির্বাচিত হয়েছেন। 

২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. গোলাম মাওলা শানু জয় পেয়েছেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম রফি উদ্দিন আহমেদ। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আজমল আহমেদের জায়গায় জয় পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হাসান। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সাইফুল ইসলাম এবারও জয় পেয়েছেন। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য এস এম মোজাফফর রশিদী এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয় পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য আরিফ হোসেন।

/এএম/
টাইমলাইন: বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন
১৩ জুন ২০২৩, ০০:০১
খুলনায় ৩১ ওয়ার্ডের ৩০টিতেই আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী
সম্পর্কিত
খুলনায় সকাল সকাল আওয়ামী লী‌গের ঝ‌টিকা মি‌ছিল
লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ৭ আ.লীগ নেতা কারাগারে
রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সভায় মহিলা লীগ নেত্রী, বললেন ‘কখনোই আ.লীগের কর্মসূচিতে যাইনি’
সর্বশেষ খবর
‘নারী বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
‘নারী বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
রাজের ‘ইনসাফ’, নায়িকা ফারিণ
রাজের ‘ইনসাফ’, নায়িকা ফারিণ
সিইসির সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলছে
সিইসির সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলছে
শেরপুরে ভিজিএফের ৩৪১০ কেজি চাল জব্দ
শেরপুরে ভিজিএফের ৩৪১০ কেজি চাল জব্দ
সর্বাধিক পঠিত
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা