যুদ্ধ বিধ্বস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের যে ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে তাতে দেশের ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির’ মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটি ঠিক হয়নি। উচিৎ ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই করিডর দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।’
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানায় এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, ‘যদি করিডর বাস্তবায়ন হয়, তাহলে সব দল মিলে আমরা এটি প্রতিহত করবো।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও প্রেস সচিবের শফিকুল আলম করিডর নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘গতকালকে একটা খবর দেখে চিন্তিত হলাম, উপদেষ্টা তৌহিদ সাহেব বলছেন, মিয়ানমারের আরাকানে মানবিক একটা প্যাসেজ দিচ্ছি। ওখানে (আরাকানে) যাওয়া যায় না তো, এখন আমাদের বাংলাদেশের চিটাগাং দিয়ে যাওয়া যাবে এবং যোগাযোগ করা যাবে। এখন যোগাযোগ করার জন্য ওখানে মানবিক প্যাসেজ দিচ্ছে। যদি এ ঘটনা ঘটে তাহলে সব রাজনৈতিক দল মিলে এই মানবিক করিডর প্রতিহত করা হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্বার্থে আমরা বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়া হবে না।’
এ সময় তিনি মিয়ানমারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা মনে করি, মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত যে আচরণ করছে সেটা বন্ধুসুলভ নয়। মানবিক করিডরের নামে যদি মিয়ানমারকে রাস্তা ব্যবহার করতে দেয়, সেটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলবে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে। সরকার যদি এই মানবিক করিডর দেয় তাহলে, এটি প্রতিহত করতে যা লাগে সরকারকে আমরা তা করবো।’
ছাত্র অধিকারের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ মুন্সী, জেলার সাবেক সদস্য সচিব ডা. সাজু, জেলার গণঅধিকারের সাবেক নেতা জাকির হুসাইন দুলালসহ আরও অনেকে।