ফরিদপুরের মধুখালীতে নিখোঁজের দুই দিন পর শেখ আল কালাম আজাদ (৫৮) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী, শাশুড়ি ও এক যুবককে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার কোঠরাকান্দি বিলের মাঝ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের ডান কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত শেখ আল কালাম আজাদ মধুখালীর মেগচামী ইউনিয়নের চরবামুনদি ইয়াসিন আলী দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ছিলেন। তিনি মধুখালী উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ ওরফে শিমুলের বাবা।
এর আগে ওই শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী, শাশুড়ি ও এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই মাদ্রাসাশিক্ষককে হত্যার তথ্য উঠে আসে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কৃষক দলের নেতা তানভীর আহমেদ বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিলআড়ালিয়া বাজার থেকে নিখোঁজ হন বাবা। এ ঘটনায় সোমবার মধুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি আমি। এ ঘটনায় তিন জনকে আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যে বাবার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনা তদন্তের একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী (২৮), তার শাশুড়ি ও মেগচামীর খালপাড়ি গ্রামের এক যুবককে (২৮) থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তাদের দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’