রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চর দৌলতদিয়া এলাকায় ১৪১৫ মিটার রাস্তা পাকা করার কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেতে সরেজমিন অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে তদন্ত টিমের সদস্যরা প্রথমে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দুপুরে সরেজমিনে রাস্তার কাজ পরিদর্শনে যান।
তদন্ত টিমের নেতৃত্বে ছিলেন- দুদকের ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাশার। তার সহযোগী ছিলেন- উপ-সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান ও ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নিরপেক্ষ প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।
তদন্ত কাজ শেষে আবুল বাশার বলেন, আমরা এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এক হাজার ৪১৫ মিটার রাস্তা রিহ্যাব বা পুনর্বাসন পাকা করার কাজে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে এসেছি। অভিযানকালে আমরা রাস্তাটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, খোয়া ও লেয়ার ৩০০,৫০০,৭০০ মিটার পর পর পরিমাপ করেছি। এ বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর মতামত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষকে পরে প্রতিবেদন দেবো।
তিনি আরও বলেন, এখানে নিম্নমানের খোয়া, ইট ও রাবিশ ব্যববহার করার অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সরজমিনে এসে কোনও রাবিশ ফেলার ঘটনা দেখতে পাইনি। রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে ও চূড়ান্ত বিলও প্রদান করা হয়নি।
রাস্তার কাজে কোনও অনিয়ম আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তার কাজে একটি সাইনবোর্ড লাগানোর কথা থাকে। কিন্তু এখানে সেটি লাগানো নেই। ঠিকাদার কাজের জন্য নিম্নমানের কিছু ইটের খোয়া ব্যবহারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেটি প্রকৌশলী ও এলাকাবাসীর বাধায় মুখে ট্রাকে তুলে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ফয়সাল জাহাঙ্গীর স্বপ্নীল বলেন, ফরিদপুর দুদকের একটি টিম রাস্তাটি পরিদর্শন করে ৫-৬টি পয়েন্টে রাস্তাটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ পরিমাপ করে মেজারমেন্টে যা ধরা ছিল তার থেকে বেশি পেয়েছেন। তাদের নির্দেশনা মতো আমরা কাজটির শেষ পর্যন্ত গুনগত মান শতভাগ নিশ্চিতে সোচ্চার থাকবো।
উল্লেখ্য, রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ কাজে দুর্নীতিসহ বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রধান কার্যালয়সহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) ৩৬টি অফিসে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।