সাভারে তৃতীয় শ্রেণি (১০) পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মমতাজকে (৬৫) এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে সাভারের একটি ইউনিয়নে বসবাস করেন। গত ১৪ এপ্রিল বিকালে মমতাজ শিশুটির বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ পেয়ে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির বাবা-মা বাড়ি ফিরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। তবে তাৎক্ষণিক লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটিকে নিজ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ পাঠিয়ে দেন তার বাবা-মা। সেখানে গিয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, অভিযুক্ত মমতাজ সম্পর্কে তার চাচাতো চাচা হয়। সেই সূত্রেই তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। ঘটনার দিন শিশুটিকে বাড়িতে রেখে তিনি দিনমজুরির কাজে যান এবং শিশুটির মা বাড়ির পাশের জমিতে শাক তুলতে যাওয়ায় ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত মমতাজ। পরে ঘটনা জানার পর লোকলজ্জার ভয়ে এবং অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় শিশুটিকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শিশুর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।