গাজীপুরে রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ পাঁচ জন দগ্ধের ঘটনায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা আক্তার (৩০) মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন পারভীনের (৩৫) শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার (১০) শরীরের ৯০ শতাংশ এবং শিশু আয়ানের (দেড় বছর) শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এইচডিইউতে চিকিৎসা চলছে।
তাসলিমা আক্তার শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাসেম আলীর মেয়ে। সে ওই এলাকায় দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে স্বামী হোসেন আলীর সাথে ভাড়া থাকতেন। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘গাজীপুরে বাসায় রান্নার সময় গ্যাস লিকেজ থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী ও শিশুসহ পাঁচ জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা আক্তারের মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সীমা আক্তার ফিমেল এইচডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।’