গাজীপুরের শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধার জমিতে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিন্ন চৌহদ্দী, খতিয়ান, দাগ নম্বরের জমি জবরদখলের জন্য চক্রটি বেআইনিভাবে সক্রিয় রয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর (নয়নপুর) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী মিলিটারির ছেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন একই গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে আব্দুছ ছাত্তার, শহিদ মিয়া, আতিকুল, আসাদ উল্লাহ, শহিদ মিয়ার ছেলে রাসেল। বিরোধীয় জমি উপজেলার মাওনা মৌজাস্থিত এসএ-১৬৭৪ খতিয়ানে এসএ-২৭ নম্বর দাগে আরএস-২৩৪৩ খতিয়ানে আরএস দাগ ৫৩৭৬ নম্বর কাতে জমির পরিমাণ ৪৬ শতাংশ।
অভিযোগের বিবরণ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত চক্রটি তাদের ভিন্ন দাগ ও খতিয়ানের জমিতে না গিয়ে অপেক্ষাকৃত দামি ও উঁচু জায়গার লোভে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি জবরদখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ওই চক্রের বিরামহীন হুমকি-ধমকিতে ভুক্তভোগী পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবারটি দাবি করছে এতে তারা সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছেন।
অভিযুক্ত আব্দুছ ছাত্তার বলেন, ‘আমার কাগজে খতিয়ান একটু ভুল আছে।’ তিনি আদালত ছাড়া কাউকে জমির কাগজপত্র দেখাতে রাজি হননি।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা জোরপূর্বক বিরোধীয় জমিতে নির্মাণকাজ করছেন। বিরোধীয় জমির কাগজ নিয়ে উভয়পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার ছেলের পক্ষ থেকে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। একজন উপপরিদর্শককে (এসআই) অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’