নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়ের করা দুই মামলায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ও তার পাঁচ সহযোগীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আবু আম্মার জুনুনী ও তার পাঁচ সহযোগীকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য পাঁচ জন হলেন আবু আম্মার জুনুনীর সহযোগী মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪), হাসান (৪৩) ও মনিরুজ্জামান (২৪)।
পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দুই মামলায় আবু আম্মার জুনুনী ও তার পাঁচ সহযোগীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত ১৭ মার্চ রাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে গোপন বৈঠকের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকা থেকে আরসার ছয় জন এবং ময়মনসিংহ থেকে আরও চার জনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। তাদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়। পরদিন ১৮ মার্চ র্যাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। দুই মামলায় আতাউল্লাহসহ ছয় জনকে পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তবে মামলায় তিন থেকে আট বছর বয়সী পাঁচ শিশুকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তারা মায়েদের সঙ্গে আছে। ওই ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ১৩ এপ্রিল আরসার প্রধান ও তার পাঁচ সহযোগীর আবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দুই মামলায় আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়।