নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক যুবদল নেতার সঙ্গে বিরোধে পিটুনিতে আহত শান্ত ওরফে চাক্কু শান্ত নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ১০ দিন পর সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
গত ১১ এপ্রিল উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হিরনাল এলাকায় স্থানীয় একদল লোকের হাতে পিটুনির শিকার হন শান্ত (২৫)। তিনি দাউদপুর ইউনিয়নের হিরনাল এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল বিকালে হিরনাল এলাকায় মাটিকাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের সঙ্গে ঝগড়া হয় শান্তর। এ সময় শান্তসহ কয়েকজন আসাদ ফকিরকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় একদল মানুষ ধাওয়া দিয়ে শান্তকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ আহত শান্তকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে মারা যান শান্ত।
এদিকে, শান্তকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ১৮ এপ্রিল তার চাচা সালাহ উদ্দিন সরকার ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরসহ ২৮ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। অপরদিকে, আসাদের বোন শিউলি আক্তার বাদী হয়ে শান্তসহ ২৭ জনকে আসামি করে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন।
শান্তর চাচা সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘পূর্ববিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাতিজা শান্তকে পিটিয়ে আহত করেছেন আসাদ ফকির ও তার লোকজন। ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসাদ ফকিরসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হিরনাল এলাকায় পিটুনির শিকার হন শান্ত। চুরি-ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইসহ ১৫ মামলার আসামি ছিলেন তিনি। মারধরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’