বৃষ্টি শুরু হলেই হঠাৎ চলে যায় বিদ্যুৎ। টিনের চাল ও টিনের বেড়াবেষ্টিত অন্ধকার কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেক পরীক্ষার্থী উত্তর জানা থাকলেও অন্ধকার থাকায় উত্তরপত্রে লিখতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরীক্ষাকক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে খাতায় লিখতে না পারায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার হাজী ছোট কলিম উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের ঘটনা এটি। ওই কেন্দ্রে প্রায় এক হাজার ৯১৭ জন পরীক্ষার্থী এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভাষ্যমতে, বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা ছিল। সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলে আনুমানিক সাড়ে ১১টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। ওই কক্ষের জানালার পাশে যেসব শিক্ষার্থী বসেছিল তারা কেউ কেউ আলোতে উত্তরপত্রে লিখতে পারলেও যেসব পরীক্ষার্থী জানালা থেকে দূরে ছিল অন্ধকার হাওয়ায় তারা উত্তরপত্রে লিখতে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে, প্রায় আধা ঘণ্টা পরও বিদ্যুৎ না আসায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের মোমবাতি সরবরাহ করেন।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যুৎহীন থাকার কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় তারা পর্যবেক্ষক ও কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে মানবিক কারণ উল্লেখ করে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুযোগ না দিয়ে যথাসময়ে দুপুর ১টায় উত্তরপত্র নিয়ে নেন।
কেন্দ্রসচিব আব্দুল হান্নান সজল সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগটি সঠিক নয়। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দুটি ছাপরা ঘর রয়েছে। জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষা চলাকালে ২০ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না। তখন পরীক্ষার্থীদের মোমবাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, ‘বৈশাখী ঝোড়ো হাওয়া বৃষ্টির কারণে অন্যান্য কেন্দ্রেও বিদ্যুতের কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। জানার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সমাধান করা হয়েছে। ওই কেন্দ্র থেকে তখন আমাকে জানানো হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতাম। যেহেতু বৈশাখ মাস বৃষ্টির সময়, তাই পরবর্তী পরীক্ষাগুলো চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে জেনারেটর রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’