গাজীপুরে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাসসহ যাবতীয় বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ হয়েছে। সোমবার বিকালে নগরীর মোগরখাল এলাকায় টিএনজেড কারখানা সংলগ্ন বালুর মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করেন টিএনজেড গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকরা।
সমাবেশে অংশ নেওয়া কয়েকজন শ্রমিক জানান, ঈদের আগে থেকেই তারা আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসেবে তাদের আজকের শ্রমিক সমাবেশ। গত ২৩ মার্চ থেকে তিন মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাসসহ যাবতীয় বকেয়ার দাবিতে ঢাকায় শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এ কর্মসূচির আলোকে ২৯ মার্চ শ্রমসচিবের উদ্যোগে ত্রিপক্ষীয় (শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ ও সরকারপক্ষ) বৈঠক হয়। বৈঠকে শ্রমিক-কর্মচারীদের আনুমানিক পাওনা ১৮ কোটি টাকার মধ্যে ঈদের আগেই তিন কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা ভঙ্গ করে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অবশিষ্ট বকেয়া পরিশোধের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার পুনরায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আশ্বাস দেন সচিব। একই সঙ্গে যত দিন বকেয়ার সমস্যা সমাধান হবে না, তত দিন টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শাহীনকে পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন সচিব।
শ্রমিকরা বলেন, ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত এবং সচিবের আশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা। এরপর ৭ এপ্রিল কারখানার সামনে শ্রমিক সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রমিক কর্মচারীদের কোনও প্রকার হয়রানি ছাড়া ন্যায্য পাওনা প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
কারখানার শ্রমিক শাহিন আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ছাত্রনেতা দিলীপ রায়, অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা গাজীপুরের আহ্বায়ক আরমান হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ, হারুন সরকার, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সত্যজিৎ বিশ্বাস, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল মীর, জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতা শামীম ইমাম।