রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও হামলায় দায়ের করা মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী কেরামত আলীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জসীম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ীর আমলি আদালতের বিচারক (রাজবাড়ী সদর) মো. তামজিদ আহমেদ এ আদেশ দেন। পরে জেলা পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত প্রাঙ্গণে কাজী কেরামত আলীকে দেখে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেয় কিছু জনতা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর বড়পুলে ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় কাজী কেরামত আলীর জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০ আগস্ট শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার এজাহারনামীয় আসামি কাজী কেরামত আলী। রাজিব মোল্লার মামলায় রবিবার রাতে ঢাকার মহাখালী থেকে কাজী কেরামত আলীকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেকবর হোসেন মণি বলেন, ‘সাবেক এমপি রাজবাড়ীর বালুদস্যু হিসাবে পরিচিত। তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে দেয়নি কাজী কেরামত আলী। আমরা বিজ্ঞ আদালতে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। আদালত আমাদের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গৌতম বসু বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞ আদালতে সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীর জামিন আবেদন করেছিলাম। বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’