মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়ায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব নমিতা দে’কে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। একই ঘটনায় সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদা খাতুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশেষ দোয়া আয়োজনের চিঠি মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। বিকালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল হায়াত রফিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে সচিব নমিতা দে’কে ওএসডি করা হয়।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসন বিভাগ থেকে বিশেষ প্রার্থনার জন্য সব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়। গত ২০ মার্চ সই করা চিঠিতে সিটি করপোরেশনের সচিব নমিতা দে উল্লেখ করেন, আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের অংশ হিসেবে ওই দিন সুবিধাজনক সময়ে আপনার মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা, দেশ ও জাতির উন্নতি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
কিছুক্ষণ পর ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা’ অংশটুকু বাদ দিয়ে একই তারিখ উল্লেখ করে সংশোধিত আরেকটি চিঠি ইস্যু করেন নমিতা দে। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নমিতা দে’কে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদা খাতুনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল লতিফ খান।
এ বিষয়ে নমিতা দে বলেন, ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদা খাতুন চিঠিটি অন্যান্য ফাইলের সঙ্গে গোলমাল পাকিয়ে তাড়াহুড়ো করে সই করিয়ে নেন। হামিদা খাতুন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজটি করেছেন। বিষয়টি জানার পর দ্রুত সংশোধিত চিঠি ইস্যু করেছি আমি। বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।’
সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনায় সচিব নমিতা দে’কে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে এবং হামিদা খাতুনকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল লতিফ খান সই করা চিঠিতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’