মানিকগঞ্জে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে চাকরিচ্যুত ও মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম শামীম নামে এক যুবদল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাফিক কনস্টেবল শাহীন আলম মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে শামীমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের যানজট নিরসনে শহীদ রফিক সড়কে একদিকে (ওয়ানওয়ে) যানবাহন চলাচলের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই সড়কের উত্তরা ব্যাংকের কাছে রিকশাচালককে উল্টো পথে যেতে বলেন শামীম। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল শাহিন আলম বাধা দেন। এ নিয়ে শাহিন আলম ও শামীমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শামীম যুবদল নেতা পরিচয়ে ট্রাফিক পুলিশ শাহীনকে মারধরের হুমকি দেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে শামীমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ট্রাফিক কনস্টেবল শাহীন আলম বাদী হয়ে মারধর, সরকারি কাজে বাধা ও হুমকির অভিযোগে যুবদল কর্মী শামীমকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) আবদুল হামিদ খান বলেন, শামীম নামের এক যুবক দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবলকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধরের হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই যুবককে গ্রেফতার করে সদর থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
জেলা যুবদলের সদস্যসচিব তুহিনুর রহমান বলেন, শামীম ফ্রান্স শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে শামীম সক্রিয়ভাবে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। যুবদলে তার পদ না থাকলেও তিনি যুবদলের সক্রিয় কর্মী। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসায় ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে রিকশায় চড়ে শামীম দ্রুত বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ট্রাফিক কনস্টেবল বাধা দিলে কথা কাটাকাটি হয়। ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ, মারধরের হুমকি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শামীমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ট্রাফিক কনস্টেবল। শামীমকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।