গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দিনদুপুরে এক চিকিৎসকের বাড়িতে ঢুকে তার ছেলেকে হাত-পা বেঁধে হত্যার পর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িতে অন্য কোনও সদস্য ছিলেন না। ডাকাতরা বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পিয়াস মজুমদার (২২) ওই বাড়ির মালিক দন্ত চিকিৎসক পল মজুমদার খোকনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল মজুমদার উপজেলার লাকিরপাড়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী রাধাগঞ্জ বাজারে নিজের চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা দেন। তার স্ত্রী অনিতা বৈদ্য গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নার্সের চাকরি করেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে ছেলে পিয়াসকে বাড়িতে রেখে বাবা-মা কর্মস্থলে চলে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল মজুমদার বাড়িতে ফিরে দেখতে পান ঘরের আলমারির ড্রয়ার খোলা ও সব কিছু ছড়ানো-ছিটানো। ছেলে পিয়াসকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পিয়াসকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পল মজুমদার খোকনের প্রতিবেশী জগদীশ পল বলেন, ‘চিৎকার শুনে আমরা ছুটে গিয়ে পিয়াসের হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। খোকন মজুমদারের ঘরের সব আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ তদন্ত করে চলে যায়।’
ডাকাতরা পিয়াসকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আরেক প্রতিবেশী সলমন মজুমদার।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চুরিতে বাধা দেওয়ায় ওই যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে কে বা কারা ঘরে ঢুকে ছেলেটিকে হত্যা করেছে, কতজন লোক ছিল, তা বলতে পারছি না। তাই এটিকে ডাকাতি বলা যায় না। ধারণা করা হচ্ছে, চুরিতে ছেলেটি বাধা দিলে তার মুখে গামছা ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’