ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলনের (২৬) বিরুদ্ধে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশিদ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিলনসহ তার দুই সহযোগীকে আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মিলন পৌর এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা মো. আরফিন মোল্যার ছেলে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী পৌর এলাকার বাসিন্দা ও আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিবাহের দিন তারিখ ঠিক হওয়ার কার্যক্রম চলছিল। এই বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন ওই ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দিয়ে বিবাহে বাধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে ছাত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় তার।
ঘটনাক্রমে মিলন ওই ছাত্রীকে বসতঘরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে (ছাত্রীকে) রক্ষা করেন। এরপর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন (২৬) ও তার দুই সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৪) এবং সোহেল শেখের (৩৩) নামে ধর্ষণচেষ্টা মামলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মিলন বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু বলেন, ‘এই ঘটনার ভিডিও আমার কাছে এসেছে এবং বিষয়টি ফেসবুকেও দেখেছি। এটা ষড়যন্ত্র না সত্য খতিয়ে দেখা হবে। অনেক সময় দলের বিপক্ষে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। তবে ঘটনাটি সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহ আল মিলনসহ তার দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’