X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে সাত মাসে কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
০৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫

নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে গত সাত মাসে আন্দোলনসহ নানা কারণে কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। কারখানাগুলো বন্ধের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তন ও মালিকপক্ষকে দুষছেন শ্রমিকনেতারা।

শ্রমিকনেতা, শিল্প পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর বন্ধ হওয়া কারখানার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ২০টি মতো। এসব শিল্পকারখানার প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। বেকার শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া পাওনার দাবিতে সড়কে আন্দোলন করছেন। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সাত মাসে গ্রিন বাংলা হোম টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ফ্যালকন গার্মেন্টস, জিএল ফ্যাশন, মাস্টার টেক্সটাইল, ওয়েস্ট বেস্ট অ্যাটায়ার্স, স্টার কাটিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফতুল্লা ফ্যাশন, মাস্টার গার্মেন্টসসহ ২৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সব কারখানাই ছোট ও মাঝারি। আর্থিক সংকট ও পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশের অভাবে কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এম এ শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত সাত মাসে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা ফ্যাশন, মাস্টার গার্মেন্টসসহ ১০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে প্রায় চার-পাঁচ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছেন। এ ছাড়া এনা গ্রুপের কারখানায় শতাধিক শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছেন। 

কারখানা বন্ধের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত জুলাইয়ের আন্দোলনের ফলে বড় বড় গার্মেন্টসগুলোতে কাজ কম ওপেন হয়েছে। কাজের অর্ডার কমে যায়। ফলে ছোট কারখানাগুলো যেগুলো সাব-কন্ট্রাকে কাজ করতো তারা কাজ পাচ্ছিল না। এরমধ্যে কিছু আওয়ামী লীগপন্থি মালিক রয়েছেন, তারা ঠিকঠাকভাবে কারখানা চালাতে পারছেন না। আবার অনেক মালিক পালিয়ে রয়েছেন। কুতুবপুরের নয়ামাটি এলাকার আইএফএস গার্মেন্টসের মালিক নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শাহ নিজামের বন্ধু হওয়ার ফলে তিনি বন্ধ করে দেন। ইউরিটেক্স গার্মেন্টসের মালিকও আওয়ামী লীগপন্থি।

তিনি আরও বলেন, আবার অনেক মালিক পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। প্রথমে তারা শ্রমিকদের বেতন আটকে দেয়। এতে শ্রমিকরা আন্দোলন করলে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এমন ঘটনা অহরহ হচ্ছে। ফলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকরা পরিকল্পিতভাবে এসব করে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। তবে আমরা চাই কারখানা টিকে থাকুক। কারণ কারখানা না থাকলে শ্রমিক থাকবে না। গার্মেন্টস শিল্পও থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কারখানা বন্ধ হয়েছে, অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এসব বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রায় সবগুলো কারখানার শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ বাকি আছে। তবে এসব বেকার হওয়া শ্রমিকদের অনেকে চাকরি ফিরে পাচ্ছেন, কেউ আবার গ্রামে চলে যাচ্ছেন।

/এএম/এস/
সম্পর্কিত
মালিক কেন শ্রমিকের মুখোমুখি হন না
পোশাক রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রে কমছে চীনের আধিপত্য, জায়গা নিচ্ছে বাংলাদেশ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ফু-ওয়াং শ্রমিকদের কর্মবিরতি
সর্বশেষ খবর
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশ করবেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা 
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশ করবেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা 
মানিকগঞ্জ মেডিক্যালে ভুল গ্রুপের রক্ত পুশ করায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
মানিকগঞ্জ মেডিক্যালে ভুল গ্রুপের রক্ত পুশ করায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
কঙ্গোতে মাঝনদীতে নৌকায় আগুন, নিহত ১৪৮
কঙ্গোতে মাঝনদীতে নৌকায় আগুন, নিহত ১৪৮
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন
সর্বাধিক পঠিত
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
মগবাজার রেললাইনে বাস আটকে যাওয়া সম্পর্কে যা জানা গেলো
মগবাজার রেললাইনে বাস আটকে যাওয়া সম্পর্কে যা জানা গেলো
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
চীনের অর্থনীতি আবারও চমকে দিলো বিশ্বকে
চীনের অর্থনীতি আবারও চমকে দিলো বিশ্বকে