শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির ঘটনায় পিটুনিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কীর্তিনাশা নদীর ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। এ সময় ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা তাদের গতিপথ রোধ করে বাল্কহেড দিয়ে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হয় বেশ কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় ৭ জনকে আটক শেষে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ছাড়াও ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চার জন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে দুই জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আহতরা হলেন- শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জয়নাল মিয়ার ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া (৩০), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯)।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির খান বলেন, ‘ডাকাতের ছোড়া গুলিতে চার জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও আহত অবস্থায় ৭ ডাকাতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুই জন মারা গিয়েছেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।’
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে স্থানীয়দের সহায়তায় ধরা হয়েছে। ডাকাত দলের ৭ সদস্য, এদের মধ্যে ২ জন নিহত। বর্তমানে ৫ জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়াও স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। ডাকাতদের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।