নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুটি ডাকাতির ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে চাপাতি, চাকু, মোবাইল, টর্চলাইট ও টাকা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান। এর আগে গত সোমবার দিনে-রাতে রায়পুরা ও ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকার আজগর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়া (৩৬), একই থানার দড়ি চন্ডিবের এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে মো. সজিব (৩৮) ও একই এলাকার মো. খোরশেদ আলমের ছেলে কাওসার মিয়া (৪২)।
পুলিশ সুপার জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নামাপাড়া এলাকায় দুটি ডাকাতির ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করে থানা ও ডিবি পুলিশ। দুটি ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রায়পুরা এবং ভৈরব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি, দুটি মোবাইল, দুটি টর্চলাইট, একটি চাকু ও নগদ আট হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এর মধ্যে মোর্শেদ মিয়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে। ডাকাতিতে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার মাহমুদাবাদ সেতু সংলগ্ন নামাপাড়া এলাকায় একটি প্রাইভেটকার সড়কের ওপর আড়াআড়িভাবে রেখে চলাচল বন্ধ করে দেয় ১০-১২ জনের ডাকাত দল। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেঙে যাত্রীদের জিম্মি করে ৯৫ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়।
এ ছাড়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর পৌনে ৫টার দিকে মহাসড়কের একই এলাকায় তিনটি মোটরসাইকেল থামিয়ে আরোহীদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও চার হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ঘটনায়ও মামলা হয়েছে। দুই মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।