রাজনীতি বিশ্লেষক, কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘আমরা মওলানা ভাসানীর ছবি বুকে নিয়ে বেঁচে আছি। আপনারা ভাসানীর ছবি সব জায়গা থেকে মুছে ফেলে দিয়েছেন। আর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামালে আপনারা আপত্তি করেন। এটা হবে না। ফ্যাসিজম কীভাবে দাঁড়ায়, ইতিহাস মুছে দিয়ে নিজেরটা কায়েম করেন। খালি একটা মাত্র আইকন আছে, শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি মূলত একটা ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ কায়েম করেছিলেন। শুধু মতাদর্শ হিসেবে নয়, একটি রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন- একটা ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ দিয়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ফ্যাসিস্ট শক্তির যে ভিত্তি সেটি উপড়ে ফেলে দিয়েছে। এর জন্য অনেকেই ভীত।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ‘মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর স্মৃতি যদি আমরা রক্ষা করতে চাই, তাহলে মওলানা ভাসানীর যে ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন সেটি পুনর্গঠন করতে হবে। সেটা গঠন করতে আসিফসহ দুই উপদেষ্টাকে বিনয়ের সঙ্গে বলবো। এটা তাদের প্রথম কর্তব্য। যদি এটা করতে না পারেন, তাহলে দেশকে বাঁচাতে পারবেন না। ট্রাস্টের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে। ট্রাস্টের অধীনে সব সম্পত্তি যেটা ফ্যাসিস্ট শক্তি দখল করে নিয়ে গেছে, তা উদ্ধার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্তোষে এলে আমি মর্মাহত হই। মাজারের যে দুর্দশা, ভাসানীসহ বিভিন্ন স্থাপনার দুর্দশা। এসব অতিদ্রুত সংস্কার করতে হবে। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি, আমরা যদি ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করতে চাই, তাহলে বিগত দিনে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সেগুলো আবার পুনরায় চালু করতে হবে।’
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। আলোচক ছিলেন ভাসানী ফাউন্ডেশনের মাহমুদুল হক সানু।