ফরিদপুরে পুলিশের বাধার কারণে পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ফোরাম। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হলেও তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম জেলা শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগে থেকেই সেখানে পুলিশ অবস্থান নেয় এবং মানববন্ধনকারীরা এলে তাদের সরিয়ে দেয়। পরে মানববন্ধনকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে সেখান থেকেও সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউপির সৈয়দ শাহিন আলম (শাহাবুর), মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউপির মো. জাকির হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউপির ম ম সিদ্দিক মিয়া পুলিশকে কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। তবে তাদের দাবি নাকচ করে সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকে পুলিশ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যানরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করার চেষ্টা করলেও পুলিশ মানববন্ধন করতে দেয়নি। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি তাই নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তাদের স্বপদে আসীন রাখতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাতে তারা এসেছিলেন। তারা দাবি করেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ করা হলে স্থানীয় জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়বে।
সবশেষে ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি-সংবলিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের অনেক পুরোনো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদগুলো গ্রামীণ বাংলার মানুষ জীবনযাত্রা ইউনিয়ন পরিষদের ওপর নির্ভরশীল। ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলে গ্রামীণ সাধারণ মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হবে।
মানববন্ধন করতে না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে ইউপি সদস্যদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। এ কর্মসূচি পালন করতে দিলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো। এজন্য তাদের লিখিত অভিযোগ থাকলে জেলা প্রশাসকের কাছে দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।