মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়িকে হত্যা করে সিন্দুকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে রুনা বেগম (২৫) নামে এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। পরে পুত্রবধূ ও তার মাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে প্রতিবেশীরা।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিংগাইর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াডিঙ্গী এলাকার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হায়াতুন নেছা (৫৫) পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গি গ্রামের মাহমুদ কাজীর স্ত্রী। আটক দুজন হলেন- হায়াতুন নেছার পুত্রবধূ রুনা বেগম ও তার মা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিংগাইর পৌরসভার নয়াডাঙ্গী গ্রামের প্রবাসী আব্দুল খালেকের মা ও তার স্ত্রী রুনা বেগম একই বাড়িতে বসবাস করতেন। মাঝেমধ্যে রুনা তার শাশুড়িকে না জানিয়ে বাড়ির বাইরে ঘুরতে বের হতেন। এ নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাতে রুনা তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সিন্দুকের ভেতরে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন বলে প্রতিবেশীদের অভিযোগ।
রবিবার সকালে রুনা বাড়ি থেকে তার নানির বাড়ি চলে যান। এদিকে বাড়িতে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। সন্ধ্যায় রুনা তার মাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসলে আত্মীয়-স্বজনরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ সিন্দুকের ভেতর লুকিয়ে রাখেন বলে জানান রুনা। পরে পুলিশকে জানালে সিন্দুকের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুত্রবধূ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হায়াতুন নেছাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।