কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছবি তুলতে গিয়ে ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো সুফল আহমেদ (১৭) ও মুন্না (১৬) নামের দুই বন্ধুর। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত সুফল ভৈরবপুর উত্তরপাড়া দুর্জয় মোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে ও অপরজন পৌর শহরের গাছতলা ঘাট এলাকার মো. আতাউল্লাহর ছেলে মুন্না। ঘটনায় আহত মোহাম্মদ বর্ণ (১৬) ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার বড় মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘোরাফেরা করতে শুক্রবার বিকালে মোটরসাইকেলে করে তিন বন্ধু উপজেলার বাঁশগাড়ী এলাকায় কাশফুল বনে ছবি তুলতে যান। বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় তাদের মোটরসাইকেলটি শম্ভুপর পাক্কার মাথা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কিশোরগঞ্জগামী একটি মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী গুরুতর আহত হয় এবং ঘাতক ট্রাকচালক ও অটোরিকশাচালক নিজ নিজ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারিয়া নাজমুন প্রভা বলেন, ‘তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অন্যজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়।’
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিয়া বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করি। ঘাতক ট্রাক ও অটোরিকশা পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’