টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে ফেরার পথে ছাত্রীদের হয়রানি ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন পরিবহন শ্রমিকরা। হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী আসমাউল হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিবহন শ্রমিক জিয়া, শফিকুল, আলিম, খলিল ও ইউসুফসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদকে রবিবার হঠাৎ বদলির আদেশ হয়। ইউএনও’র এই বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে শিক্ষার্থীরা দুপুরে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তারা সড়ক থেকে সরে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের ওপর হামলা করেন পরিবহন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা হামলা করে দুই ছাত্রীকে হয়রানি ও লাঞ্ছিত এবং ছাত্রদের মারধর করেন। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে হামলার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনরায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপস্থিত হয়ে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দেন।
এই ঘটনার ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যান এবং বিষয়টি ইউএনওকে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সড়ক ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।