কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের গ্রেফতারের খবরে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ জনতা। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে গোলাপের নিজ এলাকা উপজেলার উত্তর রমজানপুরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এ মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি গোলাপের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন স্থানীয়রা।
এর আগে, রবিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদাবর থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ওবায়দুর রহমান।
জানা যায়, জীবিকার তাগিদে আমেরিকা গিয়ে ট্যাক্সি চালাতেন গোলাপ। অতিরিক্ত আয়ের জন্য মাঝে মাঝে পিৎজা ডেলিভারিও করতেন তিনি। কিন্তু শেখ হাসিনার সান্নিধ্যে বদলে যায় গোলাপের জীবন। এলাকায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থেকেও হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বড় মাপের নেতা। পাশাপাশি ছিলেন শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী। আর এই সুবাদে কামিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পেয়ে যান মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার টিকিট এবং হয়ে যান সংসদ সদস্য। এরপর তার দুর্নীতি যেন আকাশ ছুঁতে শুরু করে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর রবিবার গোলাপ গ্রেফতার হলে তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন স্থানীয় সচেতন মহল। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন সচেতন নাগরিক বলেন, ‘গোলাপের দুর্নীতির অনেক চিত্র কালকিনিতে রয়েছে। আমাদের দাবি, বর্তমান সরকার গোলাপের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করবে।’