গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনকে (৪৮) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের বিন্দুবাড়ী গ্রামের স্বামী বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফরিদা ইয়াসমিন উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের বিন্দুবাড়ী (বগারভিটা) গ্রামের আব্দুস ছামাদের (৫৫) স্ত্রী।
নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমার বোনকে মারধর করতো ছামাদ। স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক করে বোনকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বোনকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে স্বামী। ঘটনার পর স্বামী পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা বোনকে উঠানে পড়ে থাকতে দেখে কাছে এসে মুখে বিষের গন্ধ পান। পরে তারা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফরিদা ইয়াসমিনকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল আল মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গৃহবধূর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে এবং মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা যায়নি।’