কুমিল্লা নগরের তিনটি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো— নগরের বাগিচাগাঁও এলাকার সোহাগ মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম নাফিজ (১৮), কালিয়াজুরী পাক্কার মাথা এলাকার মো. সেলিমের ছেলে মো. সিফাত (১৬), মো. অলিউল্লাহর ছেলে আরমান ইসলাম রাজিম (১৭), উত্তর চর্থা এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (১৬) এবং টিক্কাচর এলাকার মো. ইয়াসিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪)।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নগরের তিনটি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রানীর দিঘির পাড়, তালপুকুরপাড় ও আদালতপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক গ্রুপের সদস্যরা মহড়া দেয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। বিকালে নগরের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অস্ত্রের মহড়ার কারণে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রানীর দিঘির পাড়ে অবস্থিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখায় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
নগরের তালপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকালে ওই এলকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়। তাদের হাতে ছেনি, রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। এ সময় কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটলে গোটা এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযানের কারণে কিশোর গ্যাং প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে নতুন করে তারা মাথাচাড়া দিতে চাইছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’