বান্দরবানে আদালতের রায়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পর্যটন স্পট মেলার মিনি চিড়িয়াখানাটি। এ সময় বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের মিনি চিড়িয়াখানায় থাকা দুটি ভালুক ও ১৩টি মায়া হরিণসহ সবগুলো বন্যপ্রাণী জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত।
পরে ২টি ভালুক, ১টি বিন্টুরং (ভালুক বিড়াল), ২টি মেছোবিড়াল ও ৬টি বানর বান্দরবান বন বিভাগের সহায়তায় কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলহাজারা সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হয়। তবে ১৩টি মায়া হরিণ অসুস্থ থাকায় তাদের আপাতত সেখানেই রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে সেগুলোকেও কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলহাজারা সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরানের আদালত এ রায় প্রদান করেন।
রায়ে চিড়িয়াখানায় থাকা সব বন্যপ্রাণী কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়ার পরই ১৩টি মায়া হরিণ ছাড়া বাকি সব বন্যপ্রাণী ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, মেঘলার মিনি চিড়িয়াখানাটিতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুমোদন ছাড়া ভালুক, হরিণ, বনমোরগ, বানর, সাপসহ বহু বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীকে খাঁচায় আটকে রেখে প্রদর্শন করা হচ্ছিল।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আসিফ রায়হান বলেন, ‘মেঘলা মিনি চিড়িয়াখানার বন্য প্রাণীগুলোর ব্যাপারে আগে থেকেই বন অধিদফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরও আগে প্রাণীগুলো নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা হয়তো তাদের সীমাবদ্ধতার কারণে এতদিন নিয়ে যেতে পারেনি।’
এ বিষয়ে বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (সদর ডিভিশন) আবদুর রহমান বলেন, ‘সাফারি পার্কে ২টি ভালুক, ১টি বিন্টুরং (ভালুক বিড়াল), ২টি মেছোবিড়াল ও ৬টি বানর বান্দরবান বন বিভাগের সহায়তায় সেগুলো কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলহাজারা সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হয়। তবে ১৩টি মায়া হরিণ অসুস্থ থাকায় তাদের সেখানেই রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে সেগুলোকে হস্তান্তর করা হবে। এ সময় সকল কাজে আমি কো-অর্ডিনেট করেছি।’