নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় নয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
হাসপাতালে থাকা শিশুটির মা জানান, গতকাল বিকাল ৫টার দিকে বাড়ির পাশের দোকানে শিশুটিকে ইফতার আনতে পাঠান মা। দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা পরও ফিরে না আসায় তিনি বের হয়ে শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে শিশুটিকে বাড়ির দিকে আসতে দেখেন। তখন শিশুটি হাঁটতে পারছিল না। দুলতে দুলতে আসছিল। রক্ত বের হচ্ছিল তার শরীর থেকে। তিনি শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
শিশুটির মা আরও বলেন, শিশুটির শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটার মতো জখম রয়েছে। এতে গভীর গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সেটিতে অনেক সেলাই করতে হয়। রবিবার সকাল ৯টার দিকে শিশুটির ঘুম ভাঙার পর তাকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও সে কিছুই জানাতে পারেনি। তার মধ্যে ভয়-আতঙ্ক কাজ করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিশুটিকে ভর্তির পর থেকে চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিশুটির পরিবার ও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি আমরা। ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, শিশুটি কার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এরপরও রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে চার জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।