রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোর সারে ৫টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এই আস্তানার অস্তিত্ব পায়। রাঙামাটি সদর জোনের কাউখালী সেনা ক্যাম্প এ অভিযান চালায় বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, শুক্রবার ভোরবেলা সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার কাউখালী এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল)-এর শীর্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত আস্তানা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি বাইনোকুলার, একটি ওয়াকি-টকি সেট, একটি হার্ডডিস্ক, সন্ত্রাসীদের ইউনিফর্ম ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, অভিযান চলাকালে ইউপিডিএফ (মূল) তাদের চিরাচরিত কৌশল অনুযায়ী কিছুসংখ্যক পাহাড়ি নারীদের দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে অভিযানে বাধা প্রদানের অপচেষ্টা করে এবং আটক গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ধরনের উসকানিমূলক পরিস্থিতিতেও সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আরও উল্লেখ্য যে, কিছুদিন আগেই কয়েকটি পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিবিধ চালান পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক হয়। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পাহাড়ের শান্তি বিনষ্টকারী এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি প্রদানকারী সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলমান থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে।