চট্টগ্রাম ওয়াসার সাবেক গাড়িচালক তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম শুনানি শেষে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পাশাপাশি মামলাটি বিচারের জন্য আদালতও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার হোসেন লাভলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওয়াসার গাড়িচালক তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাঁচতলা বাড়িসহ ৬০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেছেন। মামলাটির বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানেই বিচারকাজ চলবে।’
তাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন।
২০২২ সালের ৫ মার্চ তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তিন বছর তদন্ত শেষে চলতি মাসে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন। বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, তাজুল ইসলামের স্ত্রী খাইরুন নেসা বেগমের বৈধ কোনও আয়ের উৎস নেই। স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করার জন্য স্ত্রীকে পোলট্রি খামারি সাজানো হয়।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, স্ত্রী ও নিজের নামে তাজুল ইসলাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় ২০০২ সালে তিন শতক জায়গা কিনে পাঁচতলা বাড়ি করেন। অথচ তার গৃহিণী স্ত্রীর আয়ের কোনও উৎস নেই। নিজের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থকে বৈধতা দিতে স্ত্রীর নামে জমি কিনে পাঁচতলা বাড়ি করেন তাজুল। তারা বাড়িটির অর্ধেক নির্মাণের ব্যয় দেখান ২৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। কিন্তু তদন্তে দুদক গণপূর্ত চট্টগ্রামের তিন উপপ্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ পরিমাপ করে পায় ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংকে নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় আরও ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে মোট ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পায় দুদক।