নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১১ বছর পর কবর থেকে মতিউর রহমান সজীব নামে এক শিবির কর্মীর মরদেহ তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহটি তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সজীব একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। ২০১৩ সালে তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং সেসময় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জানা গেছে, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সজীবের মরদেহ তোলা হয়। ওই সময় কবরে মরদেহের ভেতরে একটি বুলেট পাওয়া যায়।
এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মঈনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ওই সময় কবর থেকে বুলেট সদৃশ একটি ধাতব বস্তু উদ্ধার করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষার পর বলা যাবে এটি বুলেট কিনা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সজীবসহ সাত জন শিবির নেতাকর্মী নিহত হন। ঘটনার ১১ বছর পর চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে রামপুর ইউনিয়নের নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলি আদালতে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আরও ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকালে মিথ্যা মামলায় জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এতে আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা অস্ত্র হাতে মিছিলে হামলা চালায়। এতে কাদের মির্জা ও ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকনের গুলিতে বাদীর ভাই সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন।