বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানায়’ রূপ নেওয়ার প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ও মঙ্গলবার হালকা বৃষ্টিপাত হলেও বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, ‘বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ ঘণীভূত রূপ নিয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ভারতের উড়িশ্যা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এর প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলবর্তী সাগরে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখানো হয়েছে। সেইসঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞা চলায় জেলেরা সমুদ্রে নেই।’