কক্সবাজারের চকরিয়ার আলোচিত চরণদ্বীপ এলাকার চিংড়ি ঘেরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক আখতার জাবেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকার আমলে করা দুটি মামলা থেকে বেকসুর খালাসের আবেদন করেন। পরে সালাউদ্দিনসহ সব আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন বিচারক।
মামলা থেকে অব্যাহতির কথা শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। আদালত চত্বরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন হয়েছে। তাই দুটি মিথ্যা মামলা থেকে আমাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
সালাউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে দায়ের করা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন রাজনৈতিক সব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। রাজনীতিবিদসহ সব মানুষকে এসব মামলা থেকে খালাস দেওয়া হোক।’
মামলার ধার্য তারিখে দুপুরে কক্সবাজার আদালতপাড়ায় হাজির হন সালাউদ্দিন আহমেদ। এ সময় আইনজীবী ও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ দুটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে সালাউদ্দিনসহ সব আসামিকে খালাস দেন।
আদালত সূত্র জানায়, চকরিয়ার চরণদ্বীপ এলাকার দুটি চিংড়ি ঘেরে ২০০১ সালে হামলা চালিয়ে দখল এবং মাছ চুরির অভিযোগে ২০০৭ সালে চকরিয়া থানায় দুটি মিথ্যা মামলা করা হয়। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনসহ ৫০ জনের বেশি দলীয় নেতাকর্মীকে মামলার আসামি করা হয়। ২০১৮ সালে আদালতে মামলা দুটির চার্জশিট দেয় পুলিশ।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আদালতে মামলা দুটি স্থগিতের আবেদন করা হয়। এ সময় আদালত বলেন বাদীপক্ষ দুটি মামলায় একজন সাক্ষীকেও আদালতে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। পুলিশ মামলার ঘটনা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলা দুটি স্থগিতের আবেদন মঞ্জুর করে সব আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।