রাঙামাটি শহরে হঠাৎ করে মালিকবিহীন কুকুরের উৎপাত বেড়ে গেছে। গত তিন দিনে বেওয়ারিশ কয়েকটি কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ৬৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের জলাতঙ্কের টিকা নিতে ভিড় দেখা গেছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি থেকেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হঠাৎ এসব কুকুরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জেলা জেনারেল হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে জলাতঙ্কের টিকা নিয়েছেন ৬৫ জন। কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত কয়েকজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তা দিয়ে চলার সময় হঠাৎ পেছন থেকে কামড় দিচ্ছে কুকুরগুলো। পথে হাঁটাই অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। হঠাৎ রোগী বেড়ে যাওয়ায় টিকারও সংকট দেখা দিয়েছে।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে শহরের চম্পকনগর, ট্রাইবেল আদাম, কে কে রায় সড়ক, দেবাশীষ নগর, কল্যাণপুর, কলেজ গেট, ভেদভেদী, রাঙাপানি, ২ নম্বর পাথরঘাটা, রিজার্ভবাজার, আসামবস্তি ও তবলছড়িসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত তিন দিনে ৬৫ জন টিকা নিয়েছেন। এভাবে এক সপ্তাহ রোগী বাড়তে থাকলে জলাতঙ্কের টিকার সংকট দেখা দিতে পারে। হঠাৎ কী কারণে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তা ভাবার বিষয়।’
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকায় মালিকবিহীন বা বেওয়ারিশ কুকুর দেখভাল করে পৌরসভা। এ ছাড়া বেওয়ারিশ কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি চালানো হয়। এ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ সহযোগিতা করে থাকে। তবে গত কয়েক বছর ধরে পৌর এলাকায় কুকুরদের টিকা দেওয়া হয় না। বিষয়টি নিয়ে পৌর পরিষদে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম ফজলুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে অনেকে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি আমরা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌরসভা আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে তাদের সহযোগিতা করবো।’