নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলার সময় লুট হওয়া পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিলেন দুজন শিক্ষার্থী। বর্তমানে সেগুলো সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে ক্যাপ্টেন মো. ইফতেখারের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর নোয়াখালীর মাইজদী ক্যাম্পের টুআইসি মেজর রিফাত আনোয়ার।
তিনি বলেন, ‘অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি শটগান, একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, একটি পিস্তল ও একটি দোনলা বন্দুক। বর্তমানে অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে এগুলো পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সোনাইমুড়ী বাইপাসে আনন্দ মিছিল করে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকাল ৫টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে সোনাইমুড়ী থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে থানায় হামলার চেষ্টা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। ওই সময় থানার ছাদ থেকে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় হামলাকারীরা থানার ভেতর ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিলে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় ও পরে থানায় ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাছির, এএসআই নাছির, কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশের গুলিতে মারা যায় ইয়াছিন (১৪), তানভীর (২৪), ইয়াছিন মিয়া (২৩), রাফি (১৮), কাউসার মিয়া (১৯) ও শামীম (২৫)। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে শতাধিক। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোনও কর্মকর্তা বা সদর দফতর থেকে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
সেনাবাহিনীর নোয়াখালীর মাইজদী ক্যাম্পের টুআইসি মেজর রিফাত আনোয়ার বলেন, ‘বিকালে দুজন শিক্ষার্থী এসে আমাদের কাছে পুলিশের অস্ত্রের বিষয়ে তথ্য দেন। অস্ত্র হস্তান্তর করা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অস্ত্রগুলো তাদের কাছে দিয়ে যায়। পরবর্তীতে অস্ত্রগুলো সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’