সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী চলন্ত ট্রেন উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া গ্রেফতারকৃত চার জন হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভাদেশ্বরা এলাকার মো. বাছির মিয়ার ছেলে মো. জামাল (২৯), জামালপুরের ইসলামপুরের কুলকান্দি মধ্যপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে মো. রাশেদুল হক (২৮), জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কুমারপাড়ার মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. শরিফ মিয়া (২১) ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কুতুবপুরের গোলাম নবীর ছেলে আব্দুর রব রাসেল (২৮)। তারা সবাই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কর্মী।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তরুণী ২৫ জুন সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন। টিকিট না পেয়ে খাবার বগির একটি সিটে বসেন। এরপর ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের চার কর্মী তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অনেক যাত্রী তাদের নিষেধ করেছিল। ভোরের দিকে খাবার বগিতে লোকজন কমে গেলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে তারা। বিষয়টি রেলের অন্য যাত্রীরা জানার পর দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জানান। ২৬ জুন সকালে ভুক্তভোগী মামলা করলে জামাল, শরিফ ও রাশেদকে ওই ট্রেন থেকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে পুলিশ। পরদিন আব্দুর রবকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) আব্দুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে। সেইসঙ্গে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।
ঘটনার পরদিন রাতেই চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলকারী উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে খাবার সরবরাহকারী এ সএ করপোরেশনের ক্যাটারিং সার্ভিস স্থগিত করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়।