চট্টগ্রামে ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যদের হামলায় দন্তচিকিৎসক কোরবান আলী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে দুই আসামিকে। এরা হলেন গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজু।
বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে বুধবার আসামি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ মামলায় গোলাম রসুল নিশান ৭ নম্বর এবং আরিফুল্লাহ রাজু ৮ নম্বর আসামি। বাকি আসামিরা হলেন মাহির সামি, আকিব, বগা সোহেল, ফয়জুল আকবর চৌধুরী আদর, প্রিন্স বাবু, অপূর্ব, সাগর, রিয়াদ, সংগ্রাম ও শাফায়েত। এর মধ্যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল নগরীর পশ্চিম ফিরোজ শাহ এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যদের হাত থেকে দুই স্কুলছাত্রকে বাঁচাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন ডা. কোরবানের ছেলে আলী রেজা রানা। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় গ্যাংয়ের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে রানাকে মারধর করতে যায়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন চিকিৎসক কোরবান আলী।
আহত কোরবান আলীকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মেডিক্যাল সেন্টার নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১০ এপ্রিল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পর আলী রেজা রানা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে আকবর শাহ থানা পুলিশ। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের নির্দেশে মামলাটি নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।