ঈদের নামাজ শেষে চট্টগ্রাম নগরীর অলি-গলিতে জবাই করা কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে এবারও সমন্বিতভাবে কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক)। বর্জ্য অপসারণ কাজের সুবিধার্থে ৪১টি ওয়ার্ডকে সাত জোনে ভাগ করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সিটি করপোরেশনের সাড়ে চার হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছেন।
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সোমবার (১৮ জুন) সকাল থেকে সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু হয়। আমাদের কাজ পরিকল্পনা মতো সন্তোষজনকভাবে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মী কাজ করেছে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে সাতটি জোনে ভাগ করে মোট ৩২২টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছে। সাতটি জোনে সাতটি পানির ভাউজার কাজ করেছে রক্ত পরিষ্কারে। কোন কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিক্যাল টিম ছিল।
চসিক সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত যেকোনও বিষয়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য দামপাড়া অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমে ০২৩৩৩৩৮৯১২১ এবং ০২৩৩৩৩৮৯১২২ নম্বরে কোরবানির বর্জ্য সংক্রান্ত যেকোন অভিযোগ জানাতে পারবেন নাগরিকরা।