রাঙামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোমং মারমা হত্যা মামলায় তিন ইউপি সদস্যসহ চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩ জুন) বিকালে রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
তারা হলেন- বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াইভার ত্রিপুরা (৫০), ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার সত্য চন্দ্র ত্রিপুরা (৪৯), ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার সাধু চন্দ্র ত্রিপুরা (৫৩) ও সুজন ত্রিপুরা (৫৭)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ মে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বড়থলি পাড়া গ্রামে বড়থলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যালক চিংহ্লা অং মারমার মাচাং ঘরে ভাত খাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
পরে ৩১ মে রাতে নিহতের বড় ভাই ক্যসিংমং মারমা বাদী হয়ে বিলাইছড়ি থানায় আট জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
রাঙামাটি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ শহরের রিজার্ভ বাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে। রবিবার বিকালে তাদের আদালতে পাঠানো।
উল্লেখ্য, আহত আতোমং মারমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শরীর থেকে চারটি গুলি বের করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালেই মারা যান।