দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাঙামাটির তিন উপজেলার মধ্যে কাপ্তাই ও রাজস্থলীর বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কাপ্তাইয়ে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে নাছির উদ্দীন সাত হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৭৩ ভোট। এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে সুব্রত বিকাশ তনচংগ্যা জটিল পেয়েছেন ছয় হাজার ৪৭ ভোট।
রাজস্থলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে উবাচ মারমা সাত হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ উদ্দিন রানা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১৮ ভোট। এ ছাড়া এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া কাপ্তাই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সুইপ্রু মারমা। তিনি পেয়েছেন আট হাজার ৫৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আবদুল হাই খোকন পেয়েছেন আট হাজার ২৮৭ ভোট। এ ছাড়া উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে অপর ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন পেয়েছেন তিন হাজার ২৯২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলসি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিউটি হোসেন। ১০ হাজার ৩৯৯ ভোট পেয়ে তিনি জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে ফারহানা আহমেদ পপি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৪৮ ভোট।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ২৪টি ভোটকেন্দ্রে ১৩৬টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় সর্বমোট ৪৯ হাজার ৫২৮ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৬ হাজার ২৮ জন এবং মহিলা ভোটার ২৩ হাজার ৫০০ জন।
মঙ্গলবার রাতে রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র। মঙ্গলবার রাতে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে বিলাইছড়ি উপজেলা ৫টি কেন্দ্রে হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় রাত ১০টা পর্যন্ত কোন ফলাফল না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা করেননি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে।
মঙ্গলবার তিনটি উপজেলায় ৫১টি ভোটকেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের ভিড় দেখা গেলেও দুপুরের পর কেন্দ্র ছিল অনেকটা ফাঁকা।