লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন খানকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত এ চিঠি দেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকালে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইমতিয়াজ আরাফাত রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১০ দফতরে ওই এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
সংসদ সদস্যকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ২১ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইমতিয়াজ আরাফাত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আপনার (এমপি আনোয়ার খান) বিরুদ্ধে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ বিষয়ক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা পরিষদ (নির্বাচনি আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ২২ অনুসারে সরকারি সুযোগ-সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনি প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত কতিপয় বাধা-নিষেধ রয়েছে। সংসদ সদস্য হিসেবে আপনাকে (আনোয়ার খান) উপজেলা পরিষদ (নির্বাচনি আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ২২ (১) (২) ধারাসমূহ মেনে চলার এবং যেকোনও ধরনের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ান বাচ্চুর পক্ষে রামগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাদের এমপি আনোয়ার খান মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে, শুক্র ও শনিবার তিনি বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে ডেকেছেন। তারাই বিষয়টি অভিযোগকারী প্রার্থী ইমতিয়াজকে জানিয়েছেন।
এমপির ঘনিষ্ঠজনেরা বলে বেড়াচ্ছেন, ভোটের দিন এমপি রামগঞ্জে থেকে ভোট করবেন। এর আগে এমপির উসকানিমূলক বক্তব্যে জনগণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার এমপি আনোয়ার খানের মোবাইল ফোনে কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে এমপিকে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ না নিতে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’