X
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৩ বৈশাখ ১৪৩২

সরবরাহ কমায় চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৯আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৮

চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পুরো চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে ৩১০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেত। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে গ্যাস মিলছে মাত্র ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস সরবরাহ করছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।

গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় অধিকাংশ স্থানে জ্বলছে না চুলা। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোকেও। গ্যাসের চাপ কম থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনে।

এদিকে, গ্যাস সংকট নিয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কেজিডিসিএল-এ গ্রাহকদের অভিযোগ বাড়ছে। নগরীর মোহরা কামাল বাজার এলাকার বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, দীর্ঘদিন দিন ধরে অধিকাংশ সময়ে দিনের বেলায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে ভাড়াটিয়ারা বাসায় থাকতে চাচ্ছে না। বিষয়টি সমাধান পেতে কেজিডিসিএল-এ অভিযোগ দিয়েছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর সকাল থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস মিলছে ২৫০ থেকে ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। ওই দিন থেকে বিভিন্ন বাসাবাড়ি, কলকারখানা, সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। অনেক বাসাবাড়িতে রান্নার চুলাও জ্বলেনি। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল গ্রাহকদের।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন, দক্ষিণ ডিভিশন) ইঞ্জিনিয়ার মু. রইস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রিডে ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে একটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কারণে এলএনজি সরবরাহ কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামে।’

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড অপারেশন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম এলএনজি গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেত। বর্তমানে এলএনজি সরবরাহ কমেছে। বর্তমানে দৈনিক ২৬০ থেকে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ সংকট কবে নাগাদ সমাধান হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে, গ্যাস সংকটের কারণে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গড়ে উঠছে না নতুন নতুন শিল্প-কারখানা। এমনটাই দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। নতুন করে কোনও আবেদনও গ্রহণ করা হচ্ছে না। আবাসিকে ২৫ হাজার গ্রাহক গ্যাস সংযোগের জন্য আবেদন করে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় আছেন। এসব আবেদনকারীরা বছরের পর বছর ধরে সংযোগ না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের।’

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ছয় লাখ এক হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। পাওয়া যেত ৩১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

/এফআর/
সম্পর্কিত
রেমিট্যান্সের টাকায় দেনা শোধ, প্রবাসীদের কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা 
চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে পণ্য রফতানি ও কনটেইনার পরিবহন
চট্টগ্রাম থেকে চীনে চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট, খুলবে বাণিজ্যের নতুন দুয়ার
সর্বশেষ খবর
গাজী গ্রুপকে হারিয়ে শিরোপার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো মোহামেডান
গাজী গ্রুপকে হারিয়ে শিরোপার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো মোহামেডান
পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব: গুজরাটে ১০২৪ বাংলাদেশি গ্রেফতার
পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব: গুজরাটে ১০২৪ বাংলাদেশি গ্রেফতার
জয়পুরহাটে নিখোঁজের ৯ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, আটক ৫
জয়পুরহাটে নিখোঁজের ৯ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, আটক ৫
রাঙামাটিতে সিএনজি অটোরিকশা-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬
রাঙামাটিতে সিএনজি অটোরিকশা-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬
সর্বাধিক পঠিত
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললে অনেকের নাকি কষ্ট লাগে: মামুনুল হক
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললে অনেকের নাকি কষ্ট লাগে: মামুনুল হক
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
মেলার প্যান্ডেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
মেলার প্যান্ডেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা
ভারত কি পাকিস্তানে নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করতে পারবে?
ভারত কি পাকিস্তানে নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করতে পারবে?