চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ডুবে যাচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’। এ সময় জাহাজের তিনটি কনটেইনার পানিতে ভেসে গেছে। তবে নাবিকদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জাহাজটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাসানচরের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নিয়ে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে যাচ্ছিল জাহাজটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে পানগাঁও এক্সপ্রেসের কিছু অংশ ডুবে গেছে। বন্দর থেকে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে যাওয়ার পথে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এখন এটি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় আছে। ১২ জন নাবিক ও বিআইডব্লিউটিএর দুই জন প্রতিনিধিসহ ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে ৯৬টি কনটেইনার আছে। এর মধ্যে তিনটি পানিতে ভেসে গেছে।’
ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর চার্টারারের নিযুক্ত একটি টেকনিক্যাল টিম (ডলফিন মেরিন) জাহাজের পানি ও কনটেইনার অপসারণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বন্দরের টাগবোট কান্ডারি-১১ সহ ভাড়া করা একটি টাগবোট দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জাহাজটি পরিচালনাকারী সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিকে জাহাজটি দ্রুত উদ্ধার করা জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে নৌ বাণিজ্য অফিসের ইঞ্জিনিয়ার সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ও বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোস্তাহিদুল ইসলামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি দল রয়েছে। তারা উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে।’
সন্দ্বীপ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার মো. ইয়াকুব বলেন, ‘ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে জাহাজটির আংশিক ডুবে গেছে। উপকূলে পানি কম থাকায় জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে যায়নি। তবে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। এখন জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজটির মালিক বন্দর কর্তৃপক্ষ। এটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছে সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে যাতায়াত করছিল।