ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ প্রচণ্ড গতিতে উত্তর মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উপকূলীয় এলাকায় গাছপালা-ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্যাম্পে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গার ঘর ভেঙে গেছে।
রবিবার (১৪ মে) দুপুর থেকে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস-বৃষ্টি বাড়তে থাকে, যার ফলে উপকূলের অনেক মানুষ ছুটে যায় আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে।
সরেজমিনে রবিবার বেলা ৩টার দিকে জাদিমুরা শিবিরে দেখা গেছে, নারী ও শিশুদের আলাদা করে মসজিদ-মক্তবে রাখা হয়েছে। এসব ক্যাম্পে তিন শতাধিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা নুর বশর বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দুপুরে প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টিতে অনেকের ঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। অনেকে ঘর রেখে স্বজনদের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। শিবিরে প্রায় এক হাজার মানুষের ঘরের ক্ষতি হয়েছে।
উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইউনুছ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে আমার ক্যাম্পে ৫০০ ঘর ভেঙে গেছে। এ সময় গাছপালা পড়ে তিনজন আহত হন। আশ্রয়হীন মানুষকে জরুরি সহতায় দেওয়া হচ্ছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (আরআরআরসি) জানিয়েছেন, ক্যাম্পে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গার ঘর ভেঙে গেছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।