রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বমন্দা এবং দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার ইস্যুটিকে বিএনপি অনৈতিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলায় প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের সমান দায়িত্ব রয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে অরাজকতা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল হলে (আইসিসি) চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ডের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি ও নির্দেশনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে মুক্তকণ্ঠে কথা বলবেন। তাই এই জনসভাকে সফল করে তোলার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, চট্টগ্রামবাসী মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। এই শক্তির প্রতি জাতির যে আস্থা ও ভরসা রয়েছে তা যেন ভুল প্রমাণিত না হয়। ষড়যন্ত্র এবং অপঘাত মোকাবিলায় চট্টগ্রামের মাটি বার বার প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছে। এখন প্রয়োজন মানুষের ভালোবাসাকে অর্জন করে রাজপথে থেকে অপশক্তিকে প্রতিহত করা।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জাতীয় সংসদের হুইপ এমপি সামশুল হক চৌধুরী, সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।