দুর্ঘটনা এড়াতে আগামী সাত মাস সারাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে এমবি-এসপিবি শ্রেণির লঞ্চ, স্পিডবোট ও যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বুধবার (২৩ মার্চ) বিআইডব্লিউটিএ’র বিশেষ বন্দর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম কায়সারুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর কালবৈশাখী/দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলমান থাকবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার এই সময়ে নৌ-দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে বিধায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন বিধিমালা অনুযায়ী নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথসমূহে এমবি-এসপিবি শ্রেণির নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিধান রয়েছে। তাই চাঁদপুর নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথসমূহে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এসব নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।’
একই সঙ্গে নিষিদ্ধ সময়ে এসব নৌযান চলাচল বন্ধে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এমবি-এসপিবি শ্রেণির নৌযান, যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও চাঁদপুর নদী বন্দরের আওতাধীন চাঁদপুরের পুরানবাজার থেকে শরীয়তপুরের আলুরবাজার ফেরিঘাট ও উত্তর তারাবুনিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট; লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরীর হাট সংলগ্ন ক্যাম্পার খাল ও মতির হাট থেকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট; শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে ভোলার মির্জাকালু ও দৌলতখাঁ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্পিডবোট ও ট্রলারযোগে যাত্রী পরিবহন করছে। এর ফলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মৌসুমে দুর্ঘটনা ঘটে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমবি-এসপিবি শ্রেণির নৌযান এবং রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন নৌযানের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।’
একেএম কায়সারুল ইসলাম বলেন, এমবি অর্থাৎ মোটর বোট আর এসপিবি হলো স্পিডবোট। মোটর বোটের আওতায় কিছু ছোট লঞ্চ আছে। কারণ, এমভি, এমবি এবং এমএল; তিন প্রকৃতির লঞ্চ হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে যে লঞ্চগুলো যাতায়াত করে সেগুলো এমভি। তবে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী দু’একটি এমবি শ্রেণির লঞ্চ আছে। ট্রলার, স্পিডবোটসহ ছোট নৌযানে শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের পারাপার করা হয়। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এবং যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।