নোয়াখালীর চাটখিলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণ, এর ভিডিও ধারণ এবং ভুক্তভোগীকে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখার ঘটনায় রবিবার রাতে চাটখিল থানায় মামলাটি করা হয়েছে।
জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) সাইফুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফুয়াদ আল মতিন উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তোরাব গ্রামের মতিন প্রফেসরের ছেলে।
হাসপাতালে ভুক্তভোগী রবিবার জানান, পরিবারের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিলেন। তার দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে থেকে পরিচয়ের জেরে পারিবারিক সমস্যা থাকায় ফুয়াদের কাছে একটি চাকরির কথা বলেন। পরে ওই যুবলীগ নেতা জীবনবৃত্তান্তের কপি চাইলে সেটিও জমা দেন। এরপর আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ওই তাকে পাল্লা বাজারে আসতে বলে ফুয়াদ। তার কথামতো পাল্লা বাজারে ফুয়াদের অফিসে আসেন তিনি।
তার দাবি, ‘ফুয়াদ একটি ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করেন। ওই ইন্স্যুরেন্সে অ্যাকাউন্ট সেকশনে চাকরি দেবে বলে জানায়। সেখানে গেলে বিভিন্ন কথা বলে কালক্ষেপণ শুরু করে। কিছুক্ষণ পর নাশতা দেওয়া হয়। পরে কোমল পানীয় দেওয়া হয়। এতে নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো ছিল। এরপর ফুয়াদ ধস্তাধস্তি শুরু করে। বাধা দিলে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার এক সহযোগী মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে এবং কাউকে কিছু বললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ও হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা একটি অটোরিকশায় তুলে দিলে চালক তাকে চাটখিল ও পাল্লা বাজারের মাঝামাঝি স্থানে ফেলে চলে যায়। সেখান থেকে এক সিএনজিচালক ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছে তাকে।’
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমি এক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় অবস্থান করছি।’ তবে দেড় বছর আগে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।